September 12, 2024, 3:55 pm

কালিহাতীতে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে মানব বন্ধন

মেহেদী হাসান॥

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৭ম শ্রেণী ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক আনছের আলী ও শরীফুলের ফাঁসির দাবিতে মানব বন্ধন

কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।

শনিবার বিকেলে সিংগুরিয়া বাজারে এ মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন নারিন্দা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মুজিবুর রহমান, সিংগুরিয়া বাজার বনিক সমিতির সভাপকি বাবুল মন্ডল, তালুকদার মো. সবুজ প্রমুখ।
মানব বন্ধনে বক্তরা অভিযুক্ত ধর্ষকদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে অনতিবিলম্বে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন এলাকাবাসি।

উল্লেখ্য, কালিহাতী উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী একই গ্রামের এজিপির সাবেক অডিট অফিসার আনছের আলীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতো। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় ওই ছাত্রী পড়াশোনার ফাঁকে আনছের আলীর বাড়িতে কাজ করে দিতো। বিনিময়ে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার খেতো। আনছের আলীর স্ত্রী বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করার একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর উপর কুনজর পরে ৬০ বছরের আনছের আলীর। টাকা-পয়সা ও বিভিন্ন জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। চাচার কুকীর্তি ভাতিজা শরীফুল দেখে ফেলায় ওই স্কুল ছাত্রীকে জিম্মি কওে সেও প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে। নিজের অজান্তেই কিশোরী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। তারপরও ভয় দেখিয়ে নিয়মিত চালিয়ে যেতে থাকে শারীরিক সম্পর্ক। কিছুদিন আগে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। জিজ্ঞসাবাদে সে সব কিছু খুলে বলে। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় অন্তঃসত্তার বিষয়টি ধরা পড়ে। বিষয়টি আনছের আলী ও তার ছেলে সুমন জানার পর মেয়ের পরিবারকে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়। এ নিয়ে মেয়ের পিতা মেয়েকে নিয়ে আনছের আলীর বাড়িতে গেলে সে কয়েক দফা তাদের মারধর করে। আনছের আলী প্রভাবশালী হওয়ায় নীরবে সহ্য করে চলে আসে মেয়ে ও তার বাবা। এরই মধ্যে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য মেয়ের পরিবারকে চাপ দেয় আনছের আলী ও তার ছেলে সুমন। এরই ধারাবাহিকতায় মেয়েকে টাঙ্গাইল মুন নার্সিং হোমে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য ভর্তি করা হয়। কিন্তু ৭ মাসের অন্তঃসত্তা হওয়ায় গাইনী ডাক্তার মালেকা শফি মঞ্জু তা নষ্ট করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ বিষয়ে ডাঃ মালেকা শফি মঞ্জু বলেন, পেটের ব্যাথা নিয়ে ক্লিনিকে আসে। পরীক্ষায় ৭ মাসের অন্তঃসত্তা ধরা পড়ে। মেয়েটির পরিবার বাচ্চাটি নষ্ট করতে চাইলেও আমি তা করিনি। পরে অন্তঃসত্তার পিতা বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় মামলা করলে পুলিশ ধর্ষক শরীফুলকে গ্রেফতার করে। মুলহোতা আনছের আলী গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকাবাসী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

 

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category